করোনার কারণে সাত মাস দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা নেয়ার বদলে সব শিক্ষার্থীকে ‘অটো পাস’ দিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষার গ্রেডের ভিত্তিতে ‘অটো পাস’ দেয়ার ঘোষণা আসে। তবে অটো পাসের বিষয়ে আইন সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ সংক্রান্ত সুনির্দিষ্ট বিধি না থাকায় আইনি জটিলতা এড়াতে শিক্ষাবোর্ড আইন সংশোধন করে একটি অধ্যাদেশ জারি করবে।
শিক্ষা বোর্ড আইনে বলা আছে, পরীক্ষা নিয়ে বোর্ড ফল প্রকাশ করবে। কিন্তু করোনার কারণে এবার পরীক্ষা হচ্ছে না। তাই ফল প্রকাশের পর আইনি জটিলতার মুখে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তবে ফল প্রকাশের জন্য এখনও সুনির্দিষ্ট গাইডলাইন হাতে পায়নি শিক্ষা বোর্ডগুলো। ফলের নম্বর সংরক্ষণের টেবুলেশন শিটও তৈরি হয়নি। সব মিলিয়ে এইচএসসির ফল কবে প্রকাশ করা হবে তা নিয়ে শঙ্কার সৃষ্টি হয়েছে। যদিও কর্মকর্তাদের দাবি শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির নির্দেশনা অনুযায়ী ডিসেম্বরেই ফল প্রকাশের লক্ষ্য নিয়ে কাজ চলছে।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ড থেকে জানা গেছে, ফল প্রকাশের নীতিমালার খসড়া বোর্ড থেকে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু তা অনুমোদিত হয়ে এখনও বোর্ডে পৌঁছায়নি। তবে শিগগিরই তা বোর্ডগুলোতে পৌঁছানোর কথা আছে।
অপরদিকে শিক্ষা বোর্ডগুলো এখনো টেবুলেশন শিটের ফরমেট হাতে পায়নি। অন্যান্য বোর্ডগুলোর কর্মকর্তারা ঢাকা বোর্ডের কর্মকর্তাদের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাচ্ছেন। আশা করা হচ্ছে, টেবুলেশনের ফরমেটও খুব শিগগিরই বোর্ডগুলো হাতে পাবে।
এ বিষয়ে ঢাকা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এস এম আমিরুল ইসলাম বলেন, শিক্ষামন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী ডিসেম্বরের মধ্যে এইচএসসির ফল ঘোষণা করার চেষ্টা চলছে। আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করছি ডিসেম্বরেই ফল দেয়ার।
উল্লেখ্য, বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে এবারের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। এসব শিক্ষার্থীকে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও এসএসসির ফলের গড় অনুযায়ী এইচএসসির ফল নির্ধারণের ঘোষণা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এতে এবার শতভাগ শিক্ষার্থীই পাস করবে।