৩ ডিসেম্বর পীরগঞ্জ পাকিস্তানি হানাদার মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে পীরগঞ্জ উপজেলা থেকে পাক হানাদার বাহিনী বিতাড়িত হয়ে শত্রু মুক্ত হয়েছিল। এরপর পীরগঞ্জ উপজেলাকে ৩ ডিসেম্বর হানাদার মুক্ত দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় সকল মুক্তিযোদ্ধা, স্বাধীনতাকামী জনতা, সুশীল সমাজ, সাংবাদিক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তি বর্গ সহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ এই দিনটিকে যথাযথ মর্যাদায় পালন করেন।
এই দিনে মুক্তিবাহিনীর ক্যাপ্টেন জাহাঙ্গীরের অধীন দু’শতাধিক গেরিলা ও মিত্রবাহিনীর চতুর্মুখী আক্রমণের মুখে পাক হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসররা ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ ছেড়ে দিনাজপুরের বীরগঞ্জ হয়ে সৈয়দপুর ক্যান্টনমেন্টের দিকে পলায়ন করে।
এই দিনেই মুক্তিবাহিনীর গেরিলা নেতা যথাক্রমে মুন্সিপাড়ার শহীদুল্লাাহ্ শহিদ, মকিম উদ্দিন আহম্মেদ, জগথার আব্দুল আজিজ, বীরহলীর তালেবুর রহমান ও কাচন ডুমুরিয়ার আখতারুজ্জামানের নেতৃত্বাধীন দু’শতাধিক গেরিলা মুক্তিসেনা বীরবিক্রমে ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে প্রবেশ করে পীরগঞ্জকে পাকহানাদার মুক্ত ঘোষণা করেন।
এরপর ডিফেন্সের মুক্তিসেনা ও মিত্রবাহিনীর (ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী) র একটি ইউনিট পীরগঞ্জে প্রবেশ করে। সেদিন থেকেই ‘৩ ডিসেম্বর পীরগঞ্জ পাকহানাদার মুক্ত দিবস’ হিসেবে গণ্য হয়ে আসছে।